পালিয়ে বিয়ের এক বছরের মধ্যে কিশোর স্বামীকে হত্যা!
কিশোর প্রেমের পর পালিয়ে বাল্যবিবাহ করে প্রতিবেশী দুই কিশোর-কিশোরী। বিয়ের এক বছরের মধ্যে সেই কিশোর স্বামী রতন হোসেন (১৫) খুন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার হিজলী-মোহাম্মদপুর গ্রামের বাড়ির মেঝে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের গলা, হাত ও গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রতনের কিশোরী স্ত্রী চুমকি আরাকে (১৩) আটক করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য রতনের লাশ জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রতন হিজলী-মোহাম্মদপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিহত রতন হোসেন একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী মালয়েশিয়া প্রবাসী আজমল হোসেনের মেয়ে চুমকি আরা পড়ত মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণিতে। দুই কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায় এক বছর আগে তারা পালিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে করে। এ খবর জানার পর উভয় পরিবারের সদস্যরা এ বিয়ে মেনে নেয়। এরপর তারা গ্রামে ফিরে এসে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করছিল। এমন অবস্থায় সোমবার রতনের বোনের সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য পরিবারের অন্য সদস্যরা জয়পুরহাট শহরে অবস্থান করছিল। এ কারণে বাড়িতে ছোট বোনকে ডেকে আনে চুমকি। রাতে বাড়িতে ছিল চুমকি, তার ছোট বোন ও রতন।
মঙ্গলবার সকালে চুমকি আরা মোবাইল ফোনে জয়পুরহাট শহরে অবস্থান করা তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িকে জানায় যে, তার স্বামী রতন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে এ খবর জানতে পেয়ে পুলিশ গিয়ে রতনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলের বৌ চুমকি পরিকল্পিতভাবে তাদের ছেলে রতনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আক্কেলপুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।