ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় কী ব্যবস্থা- জানতে চান হাইকোর্ট
ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৩৭ জন বাংলাদেশি মারা যাওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট।
এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে কি না সেটিও জানাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি আদালতকে জানাতে হবে।
আজ সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন। আদালত রিট আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ মুলতবি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ এমদাদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ১৭ জুন প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সি ও মানবপাচার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে যে ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত পাচার সংক্রান্ত ঘটনা তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ এমদাদুল হক সুমন এই রিট আবেদন করেন।