নিজের করা মামলায় ফেঁসে গেলেন সংগীতশিল্পী মিলা
যৌতুকের দাবিতে মারধরের মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসায় সংগীতশিল্পী তাসবিয়া বিনতে শহীদ মিলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ উদ্দিন এ আদেশ দেন। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা আজ জানতে পেরেছেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি শহীদ ইসলাম ঢালী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মিলা বাদী হয়ে তাঁর সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় মামলা করেছেন। সে মামলার পরে পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র গ্রহণ করার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৯-এর বিচারক ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরপর বাদী মিলাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত থেকে ছয় বার নোটিশ বা সমন দেওয়া হয়। কিন্তু মিলা আদালতের নোটিশের পরও আদালতে না আসায় বিচারক রোববার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৯-এর সেরেস্তা সহকারী মো. সবুজ আজ এনটিভি অনলাইনকে জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি আজকে প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল থানার উদ্দেশে এটি পাঠানো হবে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার মিলাকে মারধর করেছেন স্বামী পারভেজ সানজারি। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর তাঁকে মারধর করা হয়। মিলার বাবা চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর চিকিৎসা হয়।
মামলায় আরো বলা হয়, এর আগে মিলার স্বামী পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন। আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেয়ে তাঁকে মারধর করেছেন। মামলায় মিলার বাবা সাক্ষী হয়েছেন।
মিলার স্বামী পারভেজ একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার পাইলট। ২০১৭ সালের ১২ মে মিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।