এখন থেকে নিজ দপ্তরে মামলা করবে দুদক
এখন থেকে থানায় মামলা করতে হবে না দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)। গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিজ দপ্তরে মামলা দায়ের, সরাসরি বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল এবং ব্যাংক হিসাব ও কর নথি সংগ্রহে বাড়তি ক্ষমতাসহ বেশ কয়েকটি বিধান যুক্ত করে সংশোধন হয়েছে দুদক বিধিমালা।
এ ছাড়া অনুসন্ধানকারীর সময়সীমা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন আরো বিকশিত হবে। কমিশনের কাজ আরো গতিশীল হবে। দুদকের ২২টি জেলা কার্যালয়ে এসব মামলা করা যাবে।
দুদক অফিসে মামলা দায়েরের বিষয়ে সংশোধিত বিধিতে বলা হয়, এই বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আইনের তফসিলভুক্ত কোনো অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট থানায় উক্ত অভিযোগটি প্রাপ্তির পর তা পুলিশ আইন ১৮৮১-এ বিধানমতে সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনধিক দুই কার্যদিবসের মধ্যে তা কমিশন বহির্ভূত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কমিশনের সংশ্লিষ্ট জেলা কার্যালয় এবং কমিশনের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কমিশন বরাবর পাঠাবে। অর্থাৎ থানায় কোনো ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করলে তা এজাহার হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তা গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করে দুদিনের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে পাঠাতে হবে।
বিধিতে দুদকের জেলা কার্যালয়ে এজাহার দায়েরে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালের বিধিমালার ২ (ছ) ধারায়ও দুদক কার্যালয়ে দুর্নীতি মামলার এজাহার দায়েরের সুযোগ ছিল। অন্যদিকে অভিযোগপত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল না করে সরাসরি তা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে দাখিলের জন্য বিধান রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে কোনো অভিযোগ পাওয়ার পর দুদকের বিদ্যমান ২০০৭ সালের বিধি অনুযায়ী অনুসন্ধানের আদেশ পাওয়ার তারিখ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান কাজ শেষ করতে হয়। সংশোধিত বিধিতে অনুসন্ধানের সময়সীমা ১৫ কার্যদিবসের পরিবর্তে ৪৫ কার্যদিবস করা হয়েছে। এ ছাড়া বিধি অনুযায়ী কাউকে সম্পদের হিসাব দিতে নোটিশ জারির সাত কার্যদিবসের পরিবর্তে ২১ কার্যদিবস করা হয়েছে।
অন্যদিকে নতুন বিধিতে কমিশনের অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তা আবশ্যক বোধ করলে ব্যাংকার্স বুকস (ব্যাংকার্স বুকস এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৯১-এ সংজ্ঞায়িত) বা আয়কর অফিস হতে আয়কর রিটার্ন, বিবরণী, হিসাব, সাক্ষ্যপ্রমাণ, অ্যাসেসমেন্ট নথি, দলিলপত্র, কমিশন আইন ও বিধিমালার বিধান মোতাবেক উদঘাটন বা পরীক্ষা বা জব্দ বা তার অনুলিপি তলব করার ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা পাবে। এ ক্ষেত্রে অন্য আইন বাধা হবে না।