প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিজের বাড়িতে উঠতে চান ব্যারিস্টার তুরিনের মা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ প্রশাসনের সহায়তায় জোরপূর্বক তাঁর মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন এবং তাঁর ভাইয়ের উত্তরার পাঁচতলা বাড়ি দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তুরিন আফরোজের মা ও ভাই এমন অভিযোগ তুলেছেন।
তাঁরা বলেন, তুরিন আফরোজের অনৈতিক কাজে বাধা দিলে ২০১৭ সালের ২ মার্চ বাড়ি থেকে মাকে বের করে দেন ব্যারিস্টার তুরিন। এরপর তাঁর মা ছেলের কাছে কানাডায় চলে যান। গত ১৪ জুন তুরিন আফরোজের মা ও ভাই কানাডা থেকে উত্তরার বাড়িতে এলে তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেননি। এরপর তাঁরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিজেদের বাড়িতে উঠার আকুতি জানান তুরিন আফরোজের মা ও ভাই।
তুরিন আফরোজের ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির বলেন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আমাকে এবং আমার মাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। তার সব ধরনের নীতিহীন এবং বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলে বাবা মারা যাওয়ার মাত্র ৫৮ দিনের মাথায় ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আমার মাকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হতে উদ্যত করে আমার পুরো বাড়িটি দখল করে নেয় তুরিন আফরোজ।
তুরিন আফরোজের মা সামসুন নাহার তসলিম বলেন, ‘আমি আমার বাড়িতে উঠতে চাই। এ ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। আজ আমি মিডিয়ার মাধ্যমে উনার সহযোগিতা কামনা করছি।
সামসুন নাহার বলেন, ‘আমার শরীর ভীষণ খারাপ। কিডনির ৬৫ শতাংশ ড্যামেজ হয়ে গেছে, সঙ্গে প্রেশার ও ডায়াবেটিস আছে। এসবের ওষুধ কেনার পয়সা ভাড়ার টাকা থেকে পেতাম। সেটাও সে (তুরিন আফরোজ) কেড়ে নিয়েছে। দেশে থাকার জায়গা নেই, এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াই।’
‘আমি এই বয়সে কেন আমার দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে পড়ে থাকব। আমার জন্মস্থান, আমার ৪৮ বছরের সংসার যেখানে, আমি সেখানেই থাকতে চাই।’