দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত কণ্ঠশিল্পী অভি মারা গেছেন
রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ উল্লাহ অভি নীরব (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে তিনি মারা যান।
নিহত অভির স্বজন হাবিবুর রহমান হাবিব রাতে হাসপাতালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাবা অলিউল্লাহ এবং মা কোহিনুর বেগমের সঙ্গে রাজধানীর বংশালের আরমানিটোলা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অভি নীরব।
অভি নীরবের দুই বোন তাসনুভা আক্তার ও উম্মে কুলসুম গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের ভাই এসএসসি পাশ করার পরে আর পড়ালেখা করেননি। ছোটকাল থেকেই অভির সংগীতের প্রতি আগ্রহ ছিল। তাই এসএসসি পরীক্ষার পরে সংগীত নিয়ে চর্চা করতে থাকেন। এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গার অনুষ্ঠানে তিনি গান গাইতেন। পাশাপাশি একটি সংগীত সংগঠনের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন।
দুই বোন আরো জানান, গত ১৩ জুন সকাল ৭টার দিকে বাসায় নাস্তা করছিলেন অভি নীরব। এসময় অভির ফোনে একটি কল আসে। তারপর অভি দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরেই একটি মেয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা অভিকে এলাকার মুকিম বাজার কবরস্থানের ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্টে) নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অভির ওপর কারা হামলা করতে পারে- এমন প্রশ্নর জবাবে তাঁর দুই বোন বলেন, গত ২৮ রমজান অভি পরিবারকে বলেছিলেন, তাঁর কণ্ঠ অনেক শত্রু বাড়িয়ে দিয়েছে। শত্রুরা তাঁর ওপর হামলা করবে এবং তাঁকে বাঁচতে দেবে না।
তবে কারা তাঁকে হুমকি দিতো এ ব্যাপারে কিছুই তখন বলেননি অভি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন থেকেই অভি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অভির পরিবার থানায় একটি মামলা করছিল। সেই মামলা এখন হত্যা মামলা হবে। বিস্তারিত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে, আশা করি শিগগিরই এ ব্যাপারে জানা যাবে।