বিজয়নগরে ভোটের সময় ইভিএম লুট
পঞ্চম উপজেলা পরিষদের শেষ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) চারটি মনিটর, দুটি কন্ট্রোল প্যানেল ও দুটি পোলিং কার্ড ছিনতাই হয়েছে। এ ঘটনায় এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহেদুল ইসলাম।
সাহেদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই কেন্দ্রের ইভিএমের চারটি মনিটর, দুটি কন্ট্রোল প্যানেল ও দুটি পোলিং কার্ড ছিনতাই করেছিল দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা একটি মনিটর ভাঙচুরও করে। তবে ছিনতাই হওয়া এসব ইভিএমের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
যারা ছিনতাই করেছিল তাদের সবাইকে তো গ্রেপ্তার করতে পারেননি তাহলে ছিনতাই হওয়া জিনিস উদ্ধার করলেন কীভাবে- এমন প্রশ্নে সাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলেও পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব যন্ত্রপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিজিবি।’
রিটানিং কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় মো. রিপন ও মো. কাওসারসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ভোটকেন্দ্রে ছুটে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ গোলাম কবির ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান।