জুয়া খেলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী আটক
পাবনার সুজানগর উপজেলায় জুয়া খেলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও ২১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। সোমবার রাত ১০টার দিকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রবিউল হক টুটুল (৪০), সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুজ্জামান শাহিনের বড় ভাই ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ (৪২), চরসুজানগর গ্রামের আবদুস সাত্তার (৫২), মোমিন হোসেন (৩৫), কালাম হোসেন (৩১), রেজাউল করিম মানিক (৪০), নাজির খান (৪৬), দীলিপ কুমার সরকার (৪০), পাশু সরকার (৪০) ও গোকুলনগর গ্রামের আশিষ কুমার (৪০)।
আটক হওয়া সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে সুজানগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার জানিয়েছেন। তিনি জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে সুজানগর বাজারে এন এ কলেজের পশ্চিম পাশে আবদুস সাত্তারের বাড়িতে একদল লোক টাকা দিয়ে জুয়া খেলছে এবং হৈ-হুল্লোড় করছে। এ খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে তাস দিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় উল্লেখিত ১০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তাসসহ জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং ২১ হাজার ৮২০ টাকা জব্দ করে পুলিশ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চরতারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হক টুটুল দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে মদ, জুয়া, গাঁজার আসর বসিয়ে আসছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক বাণিজ্যে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও রয়েছে।
এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে ১৮৬৭ সালের প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৪ ধারায় সুজানগর থানায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অরবন্দি সরকার।
এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, এটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ অভিযান। গ্রেপ্তারকৃতদের হেনস্তা করতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই অভিযান। মাত্র ২১ হাজার টাকা জব্দ করায় প্রশ্ন উঠেছে, ১০ জন লোক ২১ হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে জুয়া খেলল?
এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, এখানে পুলিশের কোনো উদ্দেশ্য নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে।