সোহেল তাজের ভাগ্নেকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল পরিবার
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নাতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের অপহৃত ভাগ্নে সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার আলম সৌরভকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সৌরভের পরিবার।
সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সওদা নামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিযোগ করেন তাঁর মা।
সৌরভের মা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছে আমার আকুল আবেদন, আপনার হস্তক্ষেপে আমি ফিরে পেতে পারি আমার বুকের ধন, আমার বাবা সৌরভকে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি জানানো হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল তাজ বলেন, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যোগাযোগ রাখছে। ওকে মোবাইল ফোনের যে নম্বর থেকে কল করেছে, দেখা গেছে যে সেটা ঢাকার একজনের নম্বর। একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার একজন কর্মকর্তার নম্বর।
গত ৯ জুন চট্টগ্রাম থেকে অপহরণ করা হয় সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখারকে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোহেল তাজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তাঁর ভাগ্নেকে অপহরণের কথা জানান। ওই পোস্টে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আমার মামাতো বোনের ছেলে (ভাগিনা), সৈয়দ ইফতেখার আলম প্রকাশ (সৌরভ) কে গত রবিবার ৯ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হসপিটালের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছেI যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে অনুরোধ করছি সৌরভকে ফিরিয়ে দিতে তার পরিবারের কাছেI অন্যথায় আপনাদের পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবেI ঘটনার আড়ালে কারা আছেন তা আমরা জানি।’
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া শুক্রবার এনটিভিকে বলেন, ঈদের ছুটিতে সৌরভ চট্টগ্রামের বাসায় আসেন। গত ১০ জুন পরিবারের পক্ষে তাঁর বাবা থানায় জিডি করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ জুন কেউ একজন সৌরভকে ফোন করে জানায়, আইটি সেক্টরে তাঁর চাকরির বিষয়ে বায়োডাটার জন্য দুজন অফিসার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর আফমি প্লাজার সামনে তাঁর সঙ্গে দেখা করবে। তাঁদের কাছে তাঁর বায়োডাটা দিতে বলেন। সৌরভ ওই দিন সন্ধ্যায় সেখানে যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
সৌরভ ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে ব্র্যাকের একটি ডক্যুমেন্টারি নিয়ে কাজ করছিলেন।