সেই পাইলটের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে
বিদেশে সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে গিয়ে পাসপোর্ট বিড়ম্বনায় পড়া ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সচিব। তিনি বলেন, ‘রিপোর্টে কিছু সুপারিশ রয়েছে যেগুলো সবারই জানা প্রয়োজন। পাসপোর্ট ছাড়া যাতে কেউ ইমিগ্রেশন পার হতে না পারে তার সব ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে।’
রিপোর্টে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের বিষয়ে কী বলা হয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রিপোর্টটি আমার হাতে এসেছে। তবে এখনো বিস্তারিত পড়ে দেখিনি।’
তদ্ন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সবার স্বার্থেই এটি প্রকাশ করা যেতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশ থেকে আনতে বিশেষ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ ভুল করে পাসপোর্ট বলাকা অফিসে রেখে যান। এমন তথ্যই পেয়েছে ঘটনা তদন্তে গঠিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব স্যারের কাছে জমা দিয়েছি।’
ফিনল্যান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গত ৬ জুন বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট পয়েন্ট পার হয়ে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁর পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। ওই সময় ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে ইমিগ্রেশনের হেফাজতে নেওয়া হয়। এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে বিমানের অন্য পাইলটকে পাঠানো হয়।
এ ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ ভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগমকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী কমিটিতে বিমানের আরো দুজন কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত শেষে গতকাল রোববার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।