পালিয়ে থাকায় ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তারে দেরি হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, ওসি মোয়াজ্জেম আত্মগোপনে থাকায় তাঁকে ধরতে দেরি হচ্ছে। তবে তিনি লুকিয়ে থাকতে পারবেন না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরে ‘তারুণ্য কথা’ নামের একটি সংগঠনের চিত্রকর্ম অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোয়াজ্জেমের গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘এতে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।’
পুলিশকে লক্ষ্য করে মালিবাগ ও গুলিস্তানে হামলার ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই ঘটনা তদন্ত চলছে। প্রায় গুছিয়ে এনেছি আমরা। শিগগিরই এ ব্যাপারে সবাইকে জানানো হবে।’
যৌন হয়রানির অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলার পর ২৭ মার্চ নুসরাতকে থানায় ডাকেন ওসি মোয়াজ্জেম। থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি ঘটনা নিয়ে নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করেন, যা পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী (নুসরাতের সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পা) তাঁর বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে-এমন সংবাদ দিলে ওই ভবনের ছাদে যান নুসরাত। সেখানে বোরকা ও নেকাব পরা চার-পাঁচজন তাঁকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত।