'প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় যুবলীগকর্মীকে হত্যা'
ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া এলাকায় যুবলীগকর্মী শফিকুল ইসলাম শপু (২৫) হত্যা মামলায় তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শফিকুলের দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা শেখ ইতি জবানবন্দিতে বলেছেন, শফিকুল তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে গুম করা হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতে আফরোজা শেখ ইতি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
পুলিশ জানায়, নিহত শফিকুলের প্রথম স্ত্রী মাহমুদার ঘরে চার বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। শফিকুল প্রথম স্ত্রীকে রেখেই আফরোজা শেখ ইতিকে বিয়ে করেন। শফিকুল দ্বিতীয় স্ত্রী ইতিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন।
গত ১০ জুন সোমবার রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শফিকুলকে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশ বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে গুমের চেষ্টা করা হয়। ১৩ জুন শফিকুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শফিকুলের দুই স্ত্রীকেই আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই কোতোয়ালি মডেল থানায় নিহত শফিকুলের মা নুরুন্নাহার বাদী হয়ে আফরোজা শেখ ইতি ও তাঁর বড় ভাই দীন ইসলাম ওরফে দীনেশসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ঘটনার তদন্তে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শফিকুলের স্বজনরা জানান, গত ১০ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন শফিকুল। ১৩ জুন স্থানীয়রা আকুয়া কলাবাগান এলাকার একটি পুকুরে শফিকুলের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) মর্গে পাঠানো হয়।
যদিও শফিকুল নিখোঁজ হওয়ার পরের দিনই ১১ জুন রাতে আফরোজা শেখ ইতি কোতোয়ালি থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।