প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং : মুহিত
প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ থেকে বাজেট বক্তৃতা শুনে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে বাজেট অধিবেশনে অংশ নিতে হুইল চেয়ারে করে সংসদে উপস্থিত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই বাজেট পেশ করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমরা মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাজেট পেশ করি। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী প্রেজেন্ট করলেন। দিস ইজ আ নিউ ট্র্যাডিশন।’
বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোয়া ৩টায় শুরু করে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো বাজেট বক্তব্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছিল। একপর্যায়ে তিনি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পাঁচ মিনিটের সময় চান। তবে ওই বিরতির পর ঠিক বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দাঁড়ান। স্পিকারকে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী অসুস্থবোধ করছেন। আপনি অনুমতি দিলে বাকি অংশটুকু আমি পড়তে চাই।’
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে অনুমতি প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যের বাকি অংশটুকু পড়া শুরু করেন। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। আর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিত।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অনুনোন্নয়ন ব্যয় তিন লাখ ২০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা।
আবুল মাল আবদুল মুহিত মোট ১২ বার (টানা ১০ বার) বাজেট পেশ করেছেন। তিনি ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুবার, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেছেন।