আদালতে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার সাক্ষীকে খুন
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে যাওয়ার সময় জালাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে তাঁর একটি হাত কেটে নিয়ে যায়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম ও নিহতের পরিবার জানায়, ২০১৩ সালের ১৩ মে গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামে সফুরা খাতুন নামের স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ পাশের নদীতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় বাদী হয়ে সফুরার ভাই গ্রামের সাইফুল, শরিফুল, রফিকুলসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। নিহত জালাল ওই হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন।
আজ সকালে ওই মামলায় সাক্ষ্য দিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আদালতে যাওয়ার সময় যোগেন্দ্রনগর বাজারে কিছু লোক জালালকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং তাঁর বাঁ হাত কেটে নিয়ে যায়।
পরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে হাসিনুর রহমান মণ্ডল এ খবর নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।
এদিকে জালালের ভাই ইসহাক জানান, জালাল বিএনপিকর্মী মমিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন। আজ আদালতে উভয় পক্ষের মীমাংসা বৈঠকও ছিল।