‘বন্ধুকে’ বেঁধে রেখে পোশাককর্মীকে ‘গণধর্ষণ’
নেত্রকোনায় ঈদের সময় ‘বন্ধুর’ সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে এক তৈরি পোশাককর্মী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার দুপুরে কেন্দুয়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দুয়া-মদন সড়কের গুগবাজার এলাকার শাপলা ইটখোলা নামক স্থানে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
‘ধর্ষণের শিকার’ ওই নারীর বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার একটি গ্রামে। তিনি বিবাহিত এবং গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পাশের মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের সুমন ওই নারী পোশাককর্মীর দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত। সুমন নিজেও বিবাহিত এবং গাজীপুরে তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। একই জেলার বাসিন্দা হওয়ায় তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। ঈদের ছুটিতে দুজনই গ্রামের বাড়ি আসেন।
ঈদের পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সুমন ওই নারী পোশাককর্মীর বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে নারী পোশাককর্মীকে মোটরসাইকেলে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। ফেরার পথে সন্ধ্যার সময় গুগবাজার এলাকার শাপলা ইটখলার সামনে এসে গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে বলে সুমন নারী পোশাককর্মীকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন।
মামলার বলা হয়, এ সময় সুমন গাড়ি ঠিক করার জন্য কাউকে ফোন করেন। তখন ইটখলার ভেতর থেকে তিন যুবক এসে সুমন ও নারী পোশাককর্মীকে ইটখলার ভেতরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই তিন যুবক সুমনের হাত বেঁধে ফেলে এবং নারী পোশাককর্মীকে গণধর্ষণ করে।
পরে নারী পোশাককর্মীকে একা ফেলে রেখে ওই তিন যুবকসহ সুমনও মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উধাও হয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এতে আরো বলা হয়, এরপর ‘ধর্ষণের শিকার’ নারী কেন্দুয়া থানায় এসে বিষয়টি জানান।
এ ঘটনার ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-কেন্দুয়া সার্কেল) মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।