ছাড়ছে লঞ্চ, যাচ্ছে বাড়ি
আর তিন-চারদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। এ সময় যাত্রীদের চোখে-মুখে বাড়ি ফেরার উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায় তেমনই দৃশ্য। সদরঘাটে এখনো যাত্রীর উপচে পড়া চাপ দেখা যায়নি। যাত্রী ভরলেই ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।
মোহাম্মদ হাফিজ নামের এক যাত্রী বলেন, এবারের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য পরিবারের সঙ্গে ভোলা যাবেন। ভিড় হবে ভেবে সকালেই চলে এসেছেন টার্মিনালে। কিন্তু এখনো তেমন ভিড় না হওয়ায় লঞ্চ ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, ভিড় না হওয়ায় একদিক থেকে কোনো রকম বিড়ম্বনা ছাড়া যাওয়া যাবে। তবে আকাশের অবস্থা দেখে কিছুটা শঙ্কিত তিনি।
তাসরিফ-৪ লঞ্চের কর্মী মামুন বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন সময়ে অনেকে চলে গেছেন। তবে আগামীকাল সোমবার বেশি ভিড় হবে। এ ছাড়া আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম হচ্ছে।
নাফিজা আক্তার রিমু নামের এক যাত্রী বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কারণে গতকাল শনিবার অফিস করতে হয়েছে। আজ সকালে পটুখালীর উদ্দেশে পরিবারসহ রওনা দিয়েছি। তবে টার্মিনালে কোনো ভিড় নেই বলে জানান তিনি।
সদরঘাটের প্রবেশদ্বারে টিকেট পরীক্ষক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, লোকজন এবার ছুটি পাইছে বেশি। গত বৃহস্পতিবার থেকে অনেকে চলে গেছে। তবে কাল সোমবার বিকেলে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
এদিকে লঞ্চে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়েও অনেকে বাড়িতে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে টার্মিনালে কাজ করা কুলিরা বাড়তি টাকা দাবি করছে বলে জানান অনেকে।
তার মধ্যে সাইমন নামের এক ব্যক্তি জানান, ঢাকা থেকে বাড়িতে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কুলিরা অনেক টাকা দাবি করছেন। আগে ২০০ টাকা দিলেও লঞ্চে এ মোটরসাইকেল তুলে দেওয়া হতো। আর এখন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দাবি করছেন অনেকে।
সাইমন বলেন, ঈদের সময় এলাকায় মোটরসাইকেলে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এ ছাড়া ঢাকায় মোটরসাইকেলে রেখে যেতেও ভয় কাজ করছে। খালি ঢাকায় যেকোনো সময় মোটরসাইকেল চুরি হতে পারে বলে জানান তিনি।