বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ
ঈদের আর বেশি দেরি নেই। শেষ সময়ের জন্য চলছে মানুষের ঘরে ফেরা। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সবাই হাসিমুখ নিয়ে ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
আজ রোববার রেল, সড়ক ও নৌপথে মানুষেরা ভিড় জমাচ্ছেন। জড়ো হচ্ছেন বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে। তবে সকালে রাজধানীতে ঘরমুখো মানুষদের কিছুটা দুর্ভোগে ফেলে বৃষ্টি। কিন্তু ঘরে ফেরার কাছে তা যেন কিছুই নয়।
আজ সকালে খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। যাত্রীরা আশা করছেন, এবারের ঈদে নির্বিঘ্নেই বাড়ি যেতে পারবেন।
দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ লঞ্চের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। ২১টি জেলার নৌপথ রয়েছে প্রায় ৪৩টি। এই নৌরুটগুলোতে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন আজ। তবে সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খুব একটা মানুষের চাপ দেখা যায়নি। যদিও অন্যান্য ঈদে এ সময়টিতে যাত্রীদের অনেক ভিড় থাকতো।
এ ছাড়া সকালে কিছুটা সময় বৃষ্টি থাকার কারণে অনেক লঞ্চ টার্মিনাল ত্যাগ করতে পারেনি। সকালে চাঁদপুরগামী লঞ্চ ছাড়া কোনো লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যেতে পারেনি। কাঙ্খিত যাত্রী না পেয়ে অনেক লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
লঞ্চ মালিকরা বলছেন, এর আগে ছুটি পেয়ে অনেক মানুষ হয়তো বাড়ি ফিরে গেছেন, যার কারণে তাঁদের যাত্রী সংখ্যা এখন কম।
লঞ্চ শ্রমিকরা বলছেন, অপেক্ষাকৃত ছোট লঞ্চগুলোতেও আজ সকালে যাত্রী সংখ্যা কম দেখা গেছে। সেজন্য অনেক লঞ্চই ছাড়তে পারেনি। যাত্রীর জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন বলেও জানান।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, সকালে বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেকেই ঘাটে পৌঁছাতে পারেননি। ওই যাত্রীদের জন্যেও তাঁরা অপেক্ষা করছেন।
তবে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, পর্যাপ্ত যাত্রী থাকার পরেও অতিরিক্ত যাত্রীর আশায় লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে না।
অন্যদিকে নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রী থাকুক আর না থাকুক, যথাসময়েই লঞ্চগুলোকে যাত্রা করতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চকেই ঘাট ত্যাগ করতে দেওয়া হবে না। লঞ্চের ছাদেও যেন কোনো যাত্রী উঠতে না পারেন, সে দিকটিও তাঁরা লক্ষ্য রাখছেন।
এ ছাড়া নৌ-ট্রাফিক পুলিশ থেকে শুরু করে আনসার সদস্যরাও বিষয়টিকে মনিটরিং করছেন বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে আজ সেহরির পর থেকেই নির্ধারিত ট্রেনের জন্য কমলাপুর রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছেন ঘরমুখো মানুষ। এদিকে সকালে স্টেশনে তিনটি ট্রেনকে বিলম্ব করতে দেখা যায়।
‘ধূমকেতু এক্সপ্রেসে’র সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় পর ছেড়ে গেছে। অন্যদিকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেসে’র ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও দেড় ঘণ্টা পর সেটি ছেড়ে গেছে। ‘নীলসাগর এক্সপ্রেসে’র সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টায় ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।