ঈদ পোশাকে ‘সবার ইশকুলের’ ৩০ শিক্ষার্থীর মুখে হাসি
প্রত্যেকের হাতে এক প্যাকেট করে মজাদার ইফতার, সঙ্গে নতুন জামা। খুশিতে চোখে মুখে বাঁধভাঙা হাসির ঝিলিক। এমন দৃশ্য দেখে তৃপ্তির আনন্দ আয়োজকদের মাঝেও। ঈদ আনন্দ ধারার এমন ফোয়ারা শনিবার বয়ে যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পূর্ব-উত্তর পাশের বস্তিতে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের ভৈরববাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের রেললাইনের পাশের নিচু এলাকায় গড়ে ওঠা বস্তি। সেখান বসবাস অর্ধশত দরিদ্র পরিবারের। সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন ওই দরিদ্র লোকদের ৩০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গড়ে তোলা হয় ‘সবার ইশকুল’ নামে একটি পাঠশালা।
সপ্তাহের বুধবার ও শুক্রবার, এই দুইদিন বস্তি এলাকায় খোলা আকাশের নিচে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয় ওই শিশুদের। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ভৈরবের ১০ জন শিক্ষার্থী এ স্কুলের শিক্ষক।
‘বস্তির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অক্ষরজ্ঞান দান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। যাতে তারা পরবর্তীতে শিক্ষা ব্যবস্থার মূলধারায় শরিক হতে পারে।’ এই কথা জানালেন সবার ইশকুলের অন্যতম উদ্যোক্তা এইচএম মাহিন।
মাহিন জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তাদের নিজেদের হাতখরচের টাকা থেকে জমিয়ে এসব শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে। উৎসব-পার্বণে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়ে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ওইসব কোমলমতি শিশুদের মুখে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং ঈদের নতুন জামা উপহার দেওয়া।