বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্টেশনে-টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষ
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, যাত্রাপথে বাড়ছে ঘুরমুখো মানুষের ভিড়। আজ শনিবার সকাল থেকেই সড়ক, রেল ও নৌপথে বাড়ির উদ্দেশে ছুটছে রাজধানীর বাসিন্দারা। তবে সকালে বৃষ্টির কবলে পড়ে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ে। কিন্তু যত ভোগান্তিই হোক, এসব উপেক্ষা করে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটছে মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগারগাঁও কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ সকালে রাজধানীতে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সকাল থেকে গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন টার্মিনালে অসংখ্য ঘরমুখো মানুষ জড়ো হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অভ্যন্তরে গণপরিবহনের দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
তবে আজ যাত্রীদের চাপ তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তার পরও কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। আগামী ৪ তারিখ থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার কারণে ৩ তারিখ থেকে ভিড় আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, মহাসড়কে এবার কোনো দুর্ভোগ নেই। আর এ জন্য কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই বাসগুলো চলাচল করছে এবং নির্দিষ্ট সময়েই বাস ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যের উদ্দেশে।
যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও টার্মিনালগুলোতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয়েছে ঘরমুখো যাত্রীরা। গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে ট্রেনগুলো বিলম্ব করে। আজও কিছুটা তেমন চিত্র দেখা গেছে। সকালে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুই ঘণ্টার মতো বিলম্ব করেই যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। সকাল ৮টায় চিলাহাটির উদ্দেশে নীলসাগর এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটিও বিলম্বে ছেড়ে যাবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, সকাল ১১টায় ছেড়ে যাবে ট্রেনটি।
গতকাল উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলো দুই থেকে সাত ঘণ্টা বিলম্বে রওনা দেয়। তবে এর আগের ঈদগুলোতে ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও আজ তেমনটি দেখা যায়নি।
এদিকে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, যারা এসির টিকেট কিনেছিলেন, তাদের বেশিরভাগই সিটের অভাবে কেবিনে যেতে পারছেন না।
আজ সদরঘাটেও ঘরমুখো মানুষ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ গত বৃস্পতিবার থেকেই নিজেদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য জড়ো হচ্ছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করছে সদরঘাটে। অনেকেই লঞ্চের শিডিউল না জানায় আগেই সদরঘাটে উপস্থিত হয়েছে। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা সদরঘাটে আসছিল তাদের অনেকেই বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়ে।
এবার ঈদযাত্রায় ২১৫টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, প্রতিদিন ১০০টিরও বেশি লঞ্চ সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ছেড়ে যাচ্ছে।