কৃষকরা ধানের দাম না পাওয়ায় মহাচিন্তায় সরকার : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে। এটি অবশ্যই বিরাট খুশির খবর। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কমে যাওয়ায় উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা। সরকার বিষয়টি নিয়ে মহাচিন্তায় আছে।
ধানের দাম বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, চালের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে চালের দাম কিছুটা বাড়বে বলে আশা করেন কৃষিমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের ন্যায্যমুল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে সরাসরি তাঁদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান কেনা হবে। সেই সঙ্গে চালের আমদানি শুল্ক ২৮ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারণ করে মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষক পর্যায় থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করা হবে। চাষিদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে সে মোতাবেক ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। সরকারের গুদামের ধারণ ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে। সরকারের ধান সংগ্রহের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে ৫০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে। চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করে চাল রপ্তানি উৎসাহিত করা হবে।
কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমানোর মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক পর্যায়ে নিতে সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নন-ইউরিয়া সারসহ অন্যান্য উপকণে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হবে। সেচের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে প্রণোদনা আরো বাড়ানো হবে। শ্রমিক সংকট নিরসনে যান্ত্রিকীকরণে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে। ইতিমধ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বিগত অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট বাবদ বরাদ্দকৃত তিন হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণের খাতে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি এখন লাভজনক হওয়ায় বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশে এসে অনেকেই কৃষির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।