দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ছে আরো পাঁচ বছর
দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ওই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ কাস্টমস আইন, ২০১৯-এর খসড়াও নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন), ২০১৯’ উপস্থাপন করে। একই বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ‘কাস্টমস আইন, ২০১৯’ উপস্থাপন করে। পর্যালোচনা শেষে আইন দুটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কতিপয় গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির জন্য ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইনটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়। কয়েক দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে শেষ পর্যন্ত ১৭ বছরের জন্য আইনটি স্থায়ী হয়। গত এপ্রিল মাসে এ ১৭ বছর শেষ হয়। যে উদ্দেশ্যে আইনটি করা হয়েছে তার প্রয়োজনীয়তা এখনো বিদ্যমান। ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করে। মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করে। এখন এটি সংসদে উপস্থাপন করা হবে।’
কাস্টমস আইনের খসড়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘১৯৬৯ সালে কাস্টমস আইনটি করা হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে এই আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন শেষে এটি সংসদে উপস্থাপন করা হয়। সংসদে পাস হওয়ার আগেই গত সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ফলে আইন সংশোধনের খসড়াটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে একই খসড়া আবার নিয়ম ও রীতি অনুযায়ী আবার মন্ত্রিসভায় পেশ করা হয়। আজ খসড়াটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।’