দেশকে এগিয়ে নিতে সবার দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে সবার দোয়া চেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে বিচারপতি, কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত ইফতারে তিনি এ সহযোগিতা চান।
ইফতারে সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী সাধারণত ইফতারে মাহফিলে উপস্থিত সবার সঙ্গে ঘুরে ঘুরে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। কিন্তু চোখের চিকিৎসার কারণে তিনি সবার কাছে যেতে না পারায় তাঁদের উদ্দেশে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রমজান হলো দোয়া কবুলের মাস। আমরা চাই আপনারা দোয়া করবেন, যাতে আমরা দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের জীবনে যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে সে জন্য তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ‘আমরা চাই যে আমাদের সমাজ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদক থেকে মুক্ত থাকুক।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি- ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব সময় এ নীতি মেনে চলি এবং সবার সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ‘আমরা আগামী মাসে এক বিশাল বাজেট দিতে যাচ্ছি এবং আমরা চাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক।’
সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিদেশ সফরের কারণে উৎসবের এ সময়ে দেশে থাকতে পারবেন না বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
‘আমি খুবই দুঃখিত যে ঈদের সময় এখানে থাকতে পারছি না। আমার বেশ কিছু বিদেশ সফর আছে...আমি প্রথমে জাপান যাব, তারপর ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব সফর করব এবং সেখান থেকে ফিনল্যান্ড যাব,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ৭ জুন দেশে ফিরবেন।
‘যেহেতু আমি ঈদে থাকতে পারছি না তাই এ ইফতার মাহফিল থেকে আগেই দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি,’ বলেন শেখ হাসিনা।
ইফতারের আগে দেশ ও জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধান এবং কূটনীতিক কোরের ডিন ও বাংলাদেশে ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি ইফতার অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।