এবার ঈদযাত্রা আরামদায়ক না হলেও স্বস্তির যেন হয়, এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বহনকারী যানবাহন এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর ভবনে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে সভা শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে সম্মিলিত সবার উদ্যোগ নিতে হবে। গত ঈদের মতো সড়কের পরিস্থিতি যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাদের বলেন, আমি বাস মালিক ও গাড়ি চালকদের অনুরোধ করব, সড়কে গাড়ি যেন নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলে। নিরাপদ সড়ক করতে মালিকরাও বড় ভূমিকা রাখতে পারেন, যেন মানুষ ভোগান্তির শিকার না হয়, এটা খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় না করা, বাসের ছাদে যাত্রী বহন না করা, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল বহন না করার বিষয়গুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের একটি করে ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আন্তজেলায় নিয়ম-কানুন মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঈদ এলেই লক্কর-ঝক্কর গাড়ি নামানো হয়, এটা যেন করা না হয়। শৃঙ্খলা না থাকলে অনেক সময় রাস্তা মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে বিশাল যানজট লেগে যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে

গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও এলেঙ্গা ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন জানান  কাদের। তিনি বলেন, দুই ফ্লাইওভার ও চার আন্ডারপাস চালু হওয়ায় এবারে উত্তরের ঈদযাত্রা নিরাপদ এবং স্বস্তির হবে।

নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর কাজ সম্পন্ন করায় জাপানি কোম্পানির সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী কদের বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ সম্পন্ন করা একটি বিরল ঘটনা। ফলে রাষ্ট্রের সাশ্রয় হয়েছে ৭২০ কোটি টাকা। এজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।

সভায় কীভাবে সড়ক নিরাপদ করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

সভায় বিআরটিএর চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনসহ হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা মহানগর পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।