কিশোরগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে ইউপি সদস্য কারাগারে
চলন্ত বাসে নার্স শাহীনূর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণের পর হত্যার দুই সপ্তাহ না পেরোতেই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলার ৫ নম্বর বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সাদ্দাম হোসেন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্নের নির্দেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ঝন্টু মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ সকালে ধর্ষণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কটিয়াদি থানার পুলিশ আবদুর রশিদকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদরে আদালতে পাঠায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কটিয়াদির লোহাজুড়ি ইউনিয়নের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর সঙ্গে স্থানীয় সুমন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর সূত্র ধরে সুমন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৫ মে মুঠোফোনে ওই কিশোরীকে ডেকে নেন। পরে একই উপজেলার পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামে একটি বাড়িতে তিনদিন আটকে রেখে বন্ধু শোভন ও শামীমসহ তিনজনে মিলে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে ১৯ মে রাতে ইউপি সদস্য আবদুর রশিদের সহায়তায় সুমন মিয়া, শোভন ও শামীম ওই কিশোরীকে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা অভিযুক্ত সুমন মিয়া, শোভন, শামীম ও আবদুর রশিদকে আসামি করে গণধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কটিয়াদি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।