জালিয়াতি করে নেওয়া জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারের নির্দেশ
জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন নেওয়ায় খুনের মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন বাতিল করে তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জাহিদ সরওয়ার কাজল সাংবাদিকদের জানান, মাগুরার জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের। কিন্তু তিনি বিচারের শুরু থেকে ছিলেন পলাতক। নিম্ন আদালতের রায় ঘোষণার প্রায় ২২ বছর পর ২০১৭ সালে আত্মসমর্পণ করেন এই আসামি। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। সেখান থেকে তিনি সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। জামিনও চান। কিন্তু চলতি বছরে হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে আবেদন খারিজ করে দেন। এরপরই হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে মামলার সব নথি জাল করে জামিন চান। এপ্রিল মাসে হাইকের্টের ওই বেঞ্চ আসামিকে জামিন দেন।
পরে মিথ্যা তথ্য ও জাল নথি দাখিল করে জামিন পাওয়ার বিষয়ে তথ্য পান রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট জাহিদ সরওয়ার কাজল। এরপরই তিনি নথি পর্যালোচনা করে বিষয়টি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। হাইকোর্ট আসামি মোয়াজ্জেমের জামিন বাতিল করে দেন। একই সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বুধবারের মধ্যে আদালতে হাজির করতে মাগুরার পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল বলেন, ‘এটা একটা ভয়াবহ জামিন জালিয়াতি। আসামি জাল কাগজ দিয়ে যেভাবে জামিন হাসিল করেছেন, সেটা গুরুতর অপরাধ।’