শিক্ষিত বেকার যুবকদের টার্গেট করত পলাশ
আব্দুস সালাম পলাশ। ২০১৭ সালে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রেক্স আইটির প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। মূলত এই প্রতিষ্ঠানে আউট সোর্সিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। কিন্তু এর আড়ালে চলে ‘বিং পেইড মার্কেটিংয়ে’র প্রচারণা।
শিক্ষিত বেকার যুবকদের টার্গেট করে দেওয়া হতো লোভনীয় অনেক প্রস্তাব। বিনিয়োগে ৫০ থেকে ১০০ ভাগ রিটার্নের প্রলোভন দেখাত পলাশ। লোভনীয় এই প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠানটির অন্তত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী টাকা বিনিয়োগ করে পলাশের এই প্রতিষ্ঠানে। প্রথম প্রথম কিছু দিন বিনিয়োগকারীদের অল্প অল্প লাভ দিয়ে উৎসাহ দেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগকারীরা বেশি লাভের আশায় আরো মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে। এভাবে এক সময় পলাশের এই প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে থাকে। পরে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগকারীদের টাকা লুট করে।
আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রেক্স আইটি ইনস্টিটিউটের মালিক আব্দুস সালাম পলাশ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৬ মে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয় আব্দুস সালামকে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি টয়োটা সেলুন কার, পাঁচটি ল্যাপটপ, তিনটি হার্ডডিস্ক ও ছয় লাখ টাকাসহ বিদেশি মুদ্রা এবং নন ব্যাংকিং কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
নথি থেকে জানা যায়, পলাশ ২০১০ সালে আউটসোর্সিং শুরু করেন। ২০১৬ সালে আইটি ভিশনে ট্রেইনার হিসেবে নয় মাস কাজ করেন। ২০১৭ সালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে রেক্স আইটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং করালেও পরবর্তী সময়ে প্রতারণার ফন্দি আটেন। পরে ওই ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩(২) , ২৪(২) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ৪(২) ধারায় মামলা করেন এক ভুক্তভোগী এ টি এম মুনিরুজ্জামান।