দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে রাজধানীর বংশাল থানার এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী। মামলায় আসামি করা হয়েছে বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রায়হান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাছান ও অমিতকে।

আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিচারক বাদীর মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২৯ জুন পুলিশ  ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ১৪ মে দুপুরে বাদীর ভাই সাবের মিয়াকে আসামিরা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে বাসা থেকে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাদী তাদের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখাতে চাইলে আসামিরা তা দেখাতে পারেননি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখানোর কথা বললে এএসআই অমিত বলেন, সাবের মিয়া একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, তাকে ক্রসফায়ার দেওয়ার নির্দেশ আছে। তখন বাদী ও তার ভাইকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। এরপর এএসআই হাছেন তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাদী ও তার ভাই তখন টাকা দিতে অস্মতি জানান।

আরজি থেকে জানা যায়, আসামি হাছেন একপর্যায়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে বাদীকে অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার বানিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বাদী তখন প্রাণ রক্ষার্থে আসামিদের দুই লাখ টাকা দিতে সম্মত হন। আসামিরা তাদের ডিআইটি মার্কেটের ৫ নং বিল্ডিংয়ের নিচতলা হাজি আক্তার মিয়ার দোকানের সামনে আসতে বলেন। এরপর বাদীরা সেখানে গিয়ে তাদের দুই লাখ টাকা ঘুষ প্রদান করেন। ঘুষ লেনদেনের আংশিক ঘটনা বাদীপক্ষের মোবাইল ফোনে ধারণ করা আছে বলে উল্লেখ করা হয়।