চাল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারি না : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি বছর ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। যার কারণে ধানের দাম নিয়ে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের কৃষককে বাঁচাতে হবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যেটা করতে পারি, সেটা হলো আমরা চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করে সীমিতকরণ করতে পারি। চাল আমদানি আমরা পুরোপুরি বন্ধ করি দিতে পারি না।
আজ রোববার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চাল আমদানি আমরা পুরোপুরি বন্ধ করি দিতে পারি না। পাশাপাশি চাল রপ্তানির দিকেও আমাদের জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল রপ্তানির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সবজির উৎপাদনও আমাদের অনেক হচ্ছিল। কৃষকরা দাম পাচ্ছিল না এবং এগুলো পচে যাচ্ছিল। আমরা রপ্তানির ব্যবস্থা করলাম। রপ্তানির খরচ দিতে পারে না বলে আমরা সেখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুকি দিয়ে আমরা সেই কাজটি করছি। এর কারণে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন চার নম্বরে। রপ্তানি করার কারণে এর বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। সবজিতে অন্তত দামটা পাচ্ছে কৃষকরা। একইভাবে চালও ভর্তুকি দিয়ে রপ্তানি করা যেতে পারে।
এ সময় আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে কৃষি ও এর উপখাতগুলোতে সরকারের বরাদ্দ ও বিশেষ গুরুত্ব প্রস্তাব হিসেবে অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশমালা প্রদান করেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, একটা সময় ছিল যখন সারা বিশ্বে খাদ্যের জন্য হাহাকার ছিল। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বেই খাদ্যের উৎপাদন অনেকগুণ বেড়ে গেছে। আল্লাহর রহমতে এ বছর আমরা অনেক বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পেরেছি। আমাদের যেমন বেশি উৎপাদন হয়েছে, আশপাশের দেশেও খাদ্যশস্যের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। বাইরে যদি চাহিদা থাকত, তাহলে আমরা রপ্তানি করতে পারতাম। বাইরেও সেইভাবে চাহিদা নেই। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার, সেগুলোর প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন।
কৃষি যন্ত্রপাতির বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, সরকার নামমাত্রমূল্যে কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতিগুলো দেয়, তারপরে সেগুলো কৃষকরা নিতে চায় না, জোর করে দেওয়া লাগে। সবাইকে অবহিত করতে হবে, যদি কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন, তাহলে উৎপাদন বাড়বে। ব্যয়ও কমে যাবে। এই ব্যয় কমানোর জন্যও আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামীতে যে কাজটি করব, উৎপাদন কম বেশি যাই হোক না কেন আমারা যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিতকরণে জোর দেব। কৃষি যন্ত্রপাতি আমরা নিয়ে এসে রেখে দেব। যখন লাগবে তখন ব্যবহার করব। উৎপাদন করে তারা যদি উৎপাদনের খরচ না পায়, তাহলে তারা নিরুৎসাহিত হবে।