দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতুর উদ্বোধন ২৫ মে
বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। ৫ ঘণ্টার যাত্রা কখনো কখনো ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টাও লেগে যায়। এর কারণ ছিল চার লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হঠাৎ করে দুই লেনের মেঘনা ও গোমতী সেতু।
আগামী ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী দুটি সেতু খুলে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের জন্য। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন নবনির্মিত এ সেতু দুটি উদ্বোধন করবেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এ ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী জানান, আগামী ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নবনির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু এবং জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুটি সেতু, দুটি ফ্লাইওভার এবং চারটি আন্ডারপাস যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। এতে এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে যাত্রীদের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন হবে। দূর হবে দীর্ঘদিনের যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসা শেষে মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর তিনি মন্ত্রণালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় এরই মধ্যে বিআরটিসির জন্য ৫০০ ট্রাকের মধ্যে ৪৮০টি এবং ৬০০ বাসের মধ্যে ১৭৯টি ঢাকায় পৌঁছেছে। এবারে বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে থাকছে প্রায় এক হাজার ১০০ বাস। এ ছাড়া জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় ৫০টি বাস স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএর চেয়াম্যান মো. মশিয়ার রহমান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানসহ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।