ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নীতিমালা লঙ্ঘন করে যত্রতত্র এলপি গ্যাস বিক্রি করার দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি তাদেরকে ভবিষ্যতে অনুরূপ কাজ থেকে বিরত থাকারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন এই কথা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার দুপুরে শহরের কমলপুর মধ্যপাড়া ও গাছতলাঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত সাদমীন। এ সময় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, বিস্ফোরক লাইসেন্স না থাকা, পরিমাণের চেয়ে বেশি মজুদ রাখা ও কার্যকরী অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় শহরের কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী হোসেন জাহাঙ্গীরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা, একই এলাকার হোসেন মিয়ার প্রতিষ্ঠানকে ২৫ টাকা এবং গাছতলাঘাট এলাকার মো. জাকির হোসেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জরিমানা বিষয়ে ব্যবসায়ী হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন, সেটি কোনো বিষয় নয়। দেশের আইন লঙ্ঘন হলে সেটিই করা উচিত। তবে আমার দুঃখ হলো,
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১২ কেজির সিলিন্ডার ৪০টার বেশি রাখা যাবে না। যেখানে সরকার ঘরে ঘরে এলপি গ্যাস ব্যবহার করার কথা বলছে, সেখানে কী করে ৪০ পিস সিলিন্ডার দিয়ে ব্যবসা করব আমরা? একটি ট্রাকে ৫০০ থেকে ৮০০ পিস সিলিন্ডার ধারণ ক্ষমতার গ্যাস থাকে। আর আমরা ৪০ পিস সিলিন্ডার বহন করে কিভাবে ব্যবসা করব? বিষয়টি তিনি ভেবে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত সাদমীন বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুর্নিদিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। আমরা শহরের দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের প্রাথমিকভাবে জরিমানা ও সতর্ক করেছি। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং সাবধান না হলে পরবর্তীতে অধিক জরিমানাসহ জেল দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানকালে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবদুর রউফ, ভৈরব পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগম ও ভৈরব থানা পুলিশসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।