ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারকে ধরার পর পরই ছেড়ে দিতে হলো
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকির মামলায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে আদালত থেকে জামিন নেওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বন্দর বাজার কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তিনি জামিন নিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন। পরে তাঁকে থানায় নিয়ে জামিনের কাগজ দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর জামিন নেওয়ার বিষয়টি পুলিশ জানত না বলে জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ১০-১৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগা একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি প্রদর্শন করে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক।
নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দিলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এরপর সারোয়ারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সোমবার দুপুরেও সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এই সংবাদ সম্মেলনের পর রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন হাসপাতালের পরিচালক ফেরদৌস হাসান। মামলায় সারোয়ারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।