ছাত্রলীগের মারামারি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই : হানিফ
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি খুবই সামান্য একটি ঘটনা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আলোচনার মাধ্যমে ওই সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন হানিফ।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী মঙ্গলবার দলের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করা, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণ করা এবং আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বিষয়ে বলেন, ‘নতুন কমিটি ঘোষণা হলে এ রকম সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক।’
হানিফ বলেন, ‘অনেকের প্রত্যাশা ছিল হয়তো বড় পদ পাবে, তারা হয়তো সে পদ না পেয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট পদ পেয়েছে। এজন্য হয়তো দুই একজনের ক্ষোভ থাকতে পারে। তবে গতকাল আমরা যেরকম শুনেছি, মধুর ক্যান্টিনে যে ঘটনা ঘটেছে, এটা অত্যন্ত ছোট্ট সামান্য ঘটনা। এটা নিয়ে খুব বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করার কিছু নেই। আমরা আশা করি দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বসে এটা ঠিক করে নিতে পারবেন। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবেই কাজ করবেন।’
হানিফ আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। যে সংগঠনের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে আছেন। এমন একটি সংগঠন যার হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আছে। তাদের মধ্যে যোগ্য নেতারা সবাই পদ-পদবির প্রত্যাশা করে। কিন্তু সবাইকে তো আর পদ-পদবি দেওয়া সম্ভব হয় না। সেই সুযোগও হয় না।’
হানিফ বলেন, ‘যেহেতু ছাত্রসমাজ তরুণ। তাদের মধ্যে হয়তো ক্ষোভটা কোনো কোনো সময় একটু বেশি আকারে দেখা যায়। এ ছাড়া ছাত্রলীগের অনেকে ভেবেছিলেন বড় পদ পাবেন, সেটা হয়তো পাননি। তারা হয়তো অপেক্ষাকৃত ছোট পদ পেয়েছেন। এই ধরনের দুই একজনের ক্ষোভ থাকতে পারে।’
হানিফ বলেন, ‘ঈদের পর ডিজিটাল ডাটাবেজ নিয়ে আওয়ামী লীগের সারা দেশের সংগঠনের দপ্তর সম্পাদকদের নিয়ে ঢাকায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।’
আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে থাকে দলের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
আগামী ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বৈঠকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কৃষি সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধাররণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।