এ্যানির দুর্নীতির মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিচারিক আদালতকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
এর আগে ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। রাজধানীর রমনা থানায় (মামলা নম্বর-১৪) দুদকের উপপরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর বিরুদ্ধে মোট এক কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তথ্য গোপনের বিষয়ে মামলার এজাহারে বলা হয়, জমি ক্রয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ তিন লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকা এবং লক্ষ্মীপুরের কুশখালীতে তাঁর নামে স্কুলে অনুদান বাবদ ১০ লাখ টাকাসহ মোট ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন তিনি, যা দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানা যায়, এ্যানির দেওয়া তথ্য অনুসারে স্থাবর-অস্থাবর ও অপ্রদর্শিত সম্পদ মিলিয়ে মোট তিন কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। যার মধ্যে দায় হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। অর্থাৎ দায় বাদ দিলে তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ হয় তিন কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৭ টাকা। যেখানে ২০১৩ সালের ৩০ জুনে দেওয়া সম্পদ বিবরণী অনুসারে তাঁর এক কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
পরে ২০১৬ সালের ওই বছরের ২৪ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। সে অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করা হয়। এরপর একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিতসহ মামলার দায় হতে দরখাস্তকারীকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।