কোর্ট এখন জেলখানার পিছে পিছে ঘুরছে : আমীর খসরু
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার বিচারে নিয়োজিত অস্থায়ী এজলাস কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘কোর্ট এখন জেলখানার পিছে পিছে ঘুরছে। কোর্ট যদি জেলখানায় ঘুরে বেড়ায় সেখানে জনগণের ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা এবং এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন চলে আসে।’
সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক চলাকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, কোর্ট এখন জেলখানার পিছে পিছে ঘুরছে। কোর্ট জেলখানায় ঢুকে পড়েছে। দেশে আইনের শাসনের কী অবস্থা তা দেখতেই পারছেন।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরো বলেন, কোর্ট থাকবে কোর্টের জায়গায়। কোর্ট যদি জেলখানায় ঘুরে বেড়ায় তাহলে আর সম্মান থাকে না। এতে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা আর কতটুকুই থাকে। সবকিছুতে স্থান কাল পাত্র ভেদে একটা ব্যাপার আছে না?
এর আগে বিকেল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। সম্প্রতি আন্দালিভ রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি জোট থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দেয়। পার্থকেও আজকের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি বৈঠকে যোগ দেননি।
এ ছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ বৈঠকে যোগ দেননি। তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট আব্দুর রাকিব ও পিপলস পার্টির সৈয়দ মাহবুব হোসেন প্রমুখ।