রাতে গৃহবধূকে হত্যা, ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামিও নিহত
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় গতকাল শনিবার রাতে এক নারীকে ঘরে ঢুকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরে আজ রোববার ভোরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে পুলিশ।
নিহত নারীর নাম বুবলি আক্তার (২৬)। তিনি বলিরহাট মদিনা জামে মসজিদ এলাকার নোয়া মিঞার মেয়ে। আর বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির নাম শাহ আলম।
পুলিশ বলছে, বুবলির আত্মীয়দের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে পূর্বশত্রুতার বিষয়টি অস্বীকার করছে নিহত বুবলির পরিবার। তাঁরা বলছেন, শাহ আলম ইয়াবা সেবন করতেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মাদকে আসক্ত ছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন রকম অপকর্মও চালাতেন শাহ আলম।
এক সপ্তাহ আগে নিহত বুবলির ছোট বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ে উপলক্ষে স্বামীকে নিয়ে বুবলি বাবার বাড়ি বলিরহাটে বেড়াতে আসেন। গতকাল শনিবার রাতে স্বর্ণ ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে যান শাহ আলম। এ সময় ওই বাড়ির পাশের মদিনা মসজিদের গেটে তালা মেরে দেন তিনি, যেন মসজিদ থেকে কেউ বের হতে না পারেন।
এরপরই ওই হত্যাকাণ্ড চালান শাহ আলম। পরে এ ঘটনার বিষয়টি বুঝতে পেরে মসজিদের ভেতরে থাকা মুসল্লিরা বের হতে চেয়েও গেটে তালা থাকায় বের হতে পারেননি।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, বাকলিয়ার বলিরহাট এলাকায় বুবলিকে গুলি করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বুবলিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হামিদ দাবি করেন, এ ঘটনার পর রাতেই পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আসামি শাহ আলমকে আটকের জন্য বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে শাহ আলম ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শাহ আলম। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করছেন এসআই।