শিকলে বেঁধে নির্যাতন, স্বামী-সতীনসহ আটক ৪
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় এক গৃহবধূকে শিকলে বেঁধে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী ও সতীনসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার খারনৈ গ্রামে ওই গৃহবধূকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, সতীন নার্গিস আক্তার, শ্বশুর মনসুর আলী ও ননদ ফরিদা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খারনৈ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম প্রথম স্ত্রী থাকার পরও দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় বিয়েকে মেনে নিতে পারেননি তাঁর প্রথম স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন। পরে সংসারে বনিবনা না হওয়ায় তিন থেকে চার মাস আগে সালিশের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর বাবার বাড়িতে চলে যান ওই গৃহবধূ।
এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিন থেকে চারদিন আগে জাহাঙ্গীর আবারও দ্বিতীয় স্ত্রীকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর জাহাঙ্গীর, তাঁর প্রথম স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন ওই দ্বিতীয় স্ত্রীর ওপর নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁকে লোহার শিকলে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়।
শিকলবন্দি করে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা বিষয়টি থানায় জানান। পরে গতকাল শুক্রবার রাতে কলমাকান্দা থানা পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম জানান, ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর স্বামী ও সতীনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মাজহারুল।