ফণীর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়
ঘূর্ণিঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ভোলায় একজন, নোয়াখালীতে একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও বরগুনায় দুজন। এ ছাড়া ৬৩ জন আহত হয়েছেন।
পটুয়াখালীতে ১৬৫টি গবাদি পশু নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও পরে অনেকগুলোর খোঁজ পাওয়া গেছে। দুই হাজার ৩৬৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১৮ হাজার ৬৭০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড় ফণীতে আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর এবং মোট ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ১৮০৪ হেক্টর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পরিমাণ ২১ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার এবং প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ৩৬টি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আগাম সতর্কতা হিসেবে সরকার পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, প্রশাসন ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে ৩ মে সকাল ১০টা থেকে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং সর্বমোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪১৭ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর সম্ভব হয়।
ডা. এনামুর রহমান জানান, ৬ মে পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ১৪ হাজার ৫০ মেট্রিক টন চাল, তিন কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, চার হাজার বান্ডেল ঢেউটিন ও এক কোটি ২০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ বাবদ দেওয়া হয়েছে।