বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী অটুট থাকবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা বিশেষ ভালো ছিল না। তবু শুধু আন্তরিকতার কারণে সর্বোচ্চ দিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে ভারত। সেই সম্প্রীতি এখনও বজায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী অটুট থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ভারত সরকারের অর্থায়নে নিয়ামতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ এবং শাংশৈল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ছাত্রীনিবাস ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
শাংশৈল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়া মারিয়া পেরেরার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের সাংসদ ছলিম উদ্দীন তরফদার, নওগাঁর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ঝরে পড়া আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় এ পথ আরো প্রশস্ত হয়েছে।
নওগাঁয় একটি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠায় ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সীমান্তে স্থলবন্দর করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলে একটি স্থলবন্দর বাস্তবায়ন করতে ভারত সরকার এগিয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী।
ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত একই সূত্রে গাঁথা। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্য যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা কোনো দিন নষ্ট হবার নয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ কাজে সহযোগিতার পাশাপাশি ভারত সরকার নিয়মিত শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিসর প্রশস্ত হচ্ছে। আমি চাই, বাংলাদেশের এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরাও সেই সুযোগ গ্রহণ করুক।
এর আগে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি নিয়ামতপুর বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ও শাংশৈল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবনির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দুটি ছাত্রীনিবাস ভবনের উদ্বোধন করেন।