‘বছরে কমপক্ষে দুটি মামলা বিনা ফিতে করুন’
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, প্রতি বছর একজন আইনজীবীকে কমপক্ষে দুটি মামলা বিনা ফিতে করতে হবে।
আজ রোববার বিকেলে উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা চলমান প্রক্রিয়া ও প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনি সহায়তা বিষয়ে আইনজীবীদের উদ্বুদ্ধ করার নিমিত্তে নানাবিধ নীতি প্রণয়ন করতে পারে যেমন- প্রত্যেক আইনজীবীকে বছরে কমপক্ষে দুটি মামলা বিনা ফিতে পরিচালনা করতে হবে।’
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে লিগ্যাল এইড বিষয়ক কর্মসূচি চালু করতে পারে। দ্বিতীয়ত স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশন বারের সদস্যদের আইন সহায়তার বিষয়ে উৎসাহিত করতে পারে। তৃতীয়ত, আইনজীবীরা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিনা ফি-তে অথবা নামমাত্র ফি-তে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আইনি সেবা দিতে পারে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারকদেরও লিগ্যাল এইড মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমার বিশ্বাস সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুপ্রিম কোর্টে সরকারি আইন সেবা কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। বিজ্ঞ আইনজীবীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যাতে দায়িত্বশীলতার সাথে অসহায় ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মামলাসমূহ পরিচালনা ও নিষ্পত্তিতে সহায়তা করেন সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি। অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বার কাউন্সিল, বার অ্যাসোসিয়েশন, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীসহ বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহকে আরো এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
পরিসংখ্যান হতে জানা যায় যে, ২০০৯ হতে ২০১৯ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে সর্বমোট তিন লাখ ৯৩ হাজার ৭৯০ জনকে বিভিন্নভাবে লিগ্যাল এইড প্রদান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে। এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ১৩ হাজার, ৮৩১ জনকে লিগ্যাল এইড প্রদান করেছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিশেষ অতিথি আনিসুল হক, অ্যাটর্নি-জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম উপস্থিত ছিলেন।