ভোলায় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত, একজন নিহত
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে সদর, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলায় স্কুলসহ কয়েকশ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো ২০ জন।
আজ শনিবার ভোররাতে সদর উপজেলার কোড়ালিয়া গ্রামে ঘরচাপায় রানী বেগম নামের ওই নারী নিহত হন।
খবর পেয়ে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ছাড়া সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কোড়ালিয়া ও বালিয়া গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিধ্বস্ত হয় অন্তত দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি। এর মধ্যে বালিয়া গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ায় সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগ, আশ্রয় নেওয়ার জন্য সাইক্লোন শেল্টারগুলো বন্ধ ছিল। তারা দাবি করে, ঝড় শুরু হলে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বের হয় তারা। কিন্তু গিয়ে দেখে, সেগুলোতে তালা দেওয়া। সেজন্য নিজেদের ঘরে ফিরে আসায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। ঘরচাপায় আরো অনেকেরই হতাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল বলেও জানায় গ্রামবাসী।
এ ছাড়া মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই এলাকাতেও বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি।
মনপুরার ওয়্যারলেস অপারেটর মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মনপুরা উপজেলার বেশ কিছু টিনের ঘরের চালা উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি।
ঢালচরের ব্যবসায়ী শাহ আলম ফরাজী জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়ো বাতাস তাঁদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
ঢালচর এলাকার বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢালচর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঝড়ের কবলে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, নিহতদের পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। এখন ক্ষয়ক্ষতির খবর নেওয়া হচ্ছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত না করে কিছু বলা যাচ্ছে না।