‘ফণী’র আঘাতে শুটিংয়ে আহত ৫
মানিকগঞ্জে ‘ফণী’র কবলে পড়েছে ‘পদ্মাপুরাণ’ চলচ্চিত্রের শুটিং ইউনিট। গতকাল শুক্রবার সন্ধায় ঝড়ের কবলে পড়ে লাইটম্যান তিনজনসহ আহত হয়েছে আরো দুজন। এমনটিই জানিয়েছেন ছবির পরিচালক রাশিদ পলাশ। ১ মে থেকে মানিকগঞ্জে পদ্মা নদীর তীরে ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। তবে ‘ফণী’ কারণে শুটিং বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্মাতা রাশিদ পলাশ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে মানিকগঞ্জে ছবির শুটিং করছি। আমার ইউনিটে মোট সত্তর জন কাজ করছে। আমরা যেখানে শুটিং করছি সেখানে গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের তীব্রতা এতই বেশি ছিল, আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম। ক্যামেরা ও লাইটের লোকজন যে ঘরটিতে ছিল, সেই ঘরটি ঝড়ে উড়ে যায়। সেই সময় লাইটম্যান তিনজন, ক্যামেরাম্যান একজন ও প্রোডাকশন বয় একজনসহ মোট পাঁচজন আহত হয়েছে। অনেক কষ্ট করে লাইট ও ক্যামেরা নিরাপদ স্থানে আমরা নিয়ে যাই। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিশ্রাম করছে। তারা এখন বিপদ মুক্ত।’
বর্তমানে ছবির বাকিসব শিল্পী নিরাপদে আছেন বলে জানান রাশিদ পলাশ। তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো ইউনিটকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছি। শিল্পীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। গতকাল ঝড়ের পর থেকে আমাদের শুটিং বন্ধ রয়েছে। আজও কোনো কাজ করতে পারিনি। আগামী ৭ তারিখ পর্যন্ত এখানে শুটিং করার কথা রয়েছে। আমরা মানকিগঞ্জেই পুরো ইউনিট অপেক্ষা করছি। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হলে শুটিং করার ইচ্ছে রয়েছে আমাদের। সবাই দোয়া করবেন, আমরা যেন কাজ শেষ করে সুস্থ্ ভাবে ঢাকায় ফিরতে পারি।’
ছবির গল্প নিয়ে রাশিদ পলাশ বলেন, “‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবিতে দর্শক পর্দার মানুষের যে জীবন দেখেছেন এখন আর তা নেই। আগের মতো আর নেই পদ্মা নদী, এখন অনেকটাই খালে পরিণত হয়েছে, আগের মতো আর চড় ভাসে না, মাছ আহরণ করে চলে না সেখানকার মানুষের জীবন। নদীর সাথে বদলেছে সেখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার ধরন। দেখা গেছে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবির কুবের চরিত্রটি হয়তো এখন ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে। আবার চম্পা আপার মতো যে চরিত্র ছিল সে হয়তো এখন মাদকদ্রব্য বিক্রি করে। আমি মূলত ‘পদ্মাপুরাণ’ ছবিটি পদ্মা নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবনের বর্তমান সময়টাকে নিয়ে নির্মাণ করছি।”
ছবিতে মাদক ব্যবসায়ির চরিত্রে অভিনয় করছেন নায়িকা প্রসূন আজাদ। রাশিদ পলাশ পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করছেন চম্পা, শম্পা রেজা, ডন, শিমুল খান প্রমুখ।