ছোবল মারবে ‘ফণী’, নাম দিয়েছে বাংলাদেশ
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ও ভারত। ইতিমধ্যে দুই দেশের উপকূলীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ফণী মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দুই দেশ। ফণী নামটি এখন মানুষের মুখে মুখে। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ফণী কেন? নামটি এলো কীভাবে?
ফণী নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। ফণী অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের আকারটা হয় সাপের ফণার মতো। যখন-তখন এসে ছোবল মারে। মূলত সেই চিন্তার জায়গা থেকে ফণী নামকরণ করা হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলো উত্তাল। এই ঘূর্ণিঝড় রীতিমতো ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়াবিদদের। ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশও আঘাত হানতে পারে ফণী। সেই আশাঙ্কা থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
উত্তর ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে যে ঘুর্ণিঝড় তৈরী হয়, তার নামকরণ করে মূলত আটটি দেশ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। এবারের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ওমান, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, মালদ্বীপ, এই দেশগুলি ঝড়ের নামকরণ করে। প্রতিটি দেশ আটটি করে নাম তালিকাভুক্ত করে। মোট ৬৪ টি নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। সেখান থেকে একটি নাম বাছাই করা হয়। এবারেও ৬৪ টি নাম ছিল। প্রতিটি দেশের একবার করে ঝড়ের নাম দিতে পারবে। এবারের নাম রাখার ভার ছিল বাংলাদেশের।
জানা গেছে, এরপরের ঝড়ের নাম হবে ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘ভায়ু’। তারপরে আরও ছয়টি ঝড়ের জন্য এখনও নাম তালিকায় রয়েছে। সেগুলো হলো হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পাউয়ান এবং আম্ফান।