সরকারের চাহিদা বেড়েছে, রাজস্ব বাড়াতে হবে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এবার আমাদের রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। এটা অর্জন করতে হবে। তবে কাউকে কষ্ট দিয়ে ট্যাক্স আহরণ করা হবে না। সরকারের চাহিদা বেড়েছে। দেশের উন্নয়নে আমাদের রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির সভায় এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রায় চার কোটি মানুষ মধ্যম আয়ের। কিন্তু তাদের ১০ শতাংশও কর দেয় না। কর দেওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন সবাই যদি কর দিত এর পরিমাণ হতো আরো অনেক বেশি, প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যেত।’
‘যারা কর দেন, তারাই সবসময় কর দিয়ে যাচ্ছেন। যারা দেন না তারা আর্থিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও কর না দিয়ে ক্রমাগত অব্যাহতি পেয়ে যাচ্ছেন। আমি জাতিকে এ অপবাদ থেকে মুক্তি দিতে চাই। যারা এত দিন অনেক বেশি মাত্রায় আয়কর দিয়েছেন তাদের জন্য বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আর যারা দেননি তাদের এবার কর দিতেই হবে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এবারের কর ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে কোনোভাবেই কোনো খাতে কর না বাড়িয়ে করের ক্ষেত্র প্রসারিত করে রাজস্ব বাড়ানো। কর নেওয়া হবে কারো ওপর করের বোঝা বাড়িয়ে নয় বরং করের আওতা বাড়িয়ে পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে। খেয়াল রাখা হবে কেউ যেন কষ্ট না পায়। বিষয়টি এ রকম যেন রাজহাঁস পালক তুলে নেওয়া হবে যত দূর সম্ভব, তবে খেয়াল রাখা হবে যেন রাজহাঁস ব্যথা না পায়।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১৯০৯ মার্কিন ডলার। আমরা ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৮.২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি।’
এফবিসিসিআইয়ের বিদায়ী সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।