ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ, অবরোধ-বিক্ষোভ
ফ্লেক্সিলোডের দোকানে ইয়াবা রাখার অভিযোগ এনে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার পাঁচ পুলিশ সদস্য। পরে তাঁকে বেদম মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারান।
কিন্তু স্থানীয়দের বিষয়টিতে সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে ওই দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরাই সেখানে কৌশলে ইয়াবা রেখে দোকানিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এরপরই উত্তেজিত জনতা পুলিশ সদস্যদের আটকে রেখে তাদের বিচার দাবি করে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
এমনটাই দাবি করেছেন গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল আমিন জনি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে রামগোপালপুর বাজারের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার দোকানে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লার আল-মামুন গতকাল মধ্যরাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যদি পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল রাত ১২টার দিকে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পাঁচজনকে নিয়ে এসেছে। তাঁরা হলেন—উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আওয়াল, এসআই আনোয়ার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিন, এএসআই কামরুল ও কনস্টেবল আল-আমিন।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল আমিন জনি আরো জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সদস্যরা এসে দোকান থেকে ব্যবসায়ী খোকনকে আটক করে মারধর করতে থাকে। খোকন ভালো ছেলে। তিনি অধূমপায়ী। অথচ তাঁকেই ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছে পুলিশ। পরে খোকনকে নিয়ে যেতে চাইলে জনতা বাধা দেয়। এর জের ধরেই পুলিশের বিচার দাবি করে জনতা রাত ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘পুলিশ সিসি ক্যামেরার মেমোরি ও তার ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ পুলিশের অপরাধ দেখেছে। আশা করি, অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচার হবে।’
তবে এসআই আনোয়ার দাবি করেছেন, ‘ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসার পাশাপাশি খোকন ইয়াবা বিক্রি করে জেনে তাঁর দোকানে অভিযান চালিয়ে একটি পুঁটলি উদ্ধার করি। তবে স্থানীয়রা খোকনকে ভালো মানুষ দাবি করে আমাদের আটক করে বিক্ষোভ করেন।’
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’