ময়মনসিংহ সিটিতে ভোটের দুদিন আগে ইভিএম-মহড়া
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (এমসিসি) নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের ভোটদানের পদ্ধতি সম্পর্কে জানাতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখানো এবং ভোটারদের ভোট সম্পর্কিত নানা তথ্য জানানো।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় জানিয়েছে, ভোটের দুদিন আগে, অর্থাৎ আগামী ৩ মে দেশের এই ১২তম সিটি করপোরেশনের সবকটি কেন্দ্রে ইভিএম বসিয়ে সরাসরি ভোটারদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখানো হবে। যাতে করে নির্বাচনের দিন তাঁদের ভোট দিতে কোনো প্রকার অসুবিধার মুখে পড়তে না হয়।
এ ছাড়া আগামী ২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল ও ২ মে এই পাঁচ দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার এডুকেশন বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। সেখানেও ভোটাররা ভোটদান এবং ভোট সম্পর্কে তথ্য পাবেন।
আগামী ৫ মে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেওয়ার সময় ইসি জানিয়েছিল, পুরো সিটিতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. ইকরামুলক হক টিটু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। ফলে এই সিটিতে কেবল কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ভোট নেবে ইসি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইভিএমে ভোটের পদ্ধতি শেখানোর জন্য এরই মধ্যে আমরা এ-সংক্রান্ত একটি অফিস অদেশ জারি করেছি। তবে কবে জারি করা হয়েছে, তা বলতে পারছি না। ভোট গ্রহণের দুদিন আগে, অর্থাৎ ৩ মে পুরো সিটির ভোটারদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখানো হবে। যাতে করে ভোটের দিন তাঁদের কোনো সমস্যা না হয় ভোট দিতে।’
‘ওই দিন সিটির মোট ১২৭টি কেন্দ্রে দুটি করে, অর্থাৎ ২৫৪টি ইভিএমের মাধ্যমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই শেখানোর কার্যক্রম চালানো হবে। এতে করে ভোটাররা মেশিনে ভোট দিতে অভ্যস্ত হবে,’ যোগ করেন অতিরিক্ত সচিব।
ময়মনসিংহ সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২৯ লাখ ছয় হাজার ৯৩৮ জন। তাঁরা ১২৭টি কেন্দ্রের ৮২৯টি ভোটকক্ষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে ব্যবহার করা হবে মোট দুই হাজার ২৬টি ইভিএম।
ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন এক হাজার চারজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং এক হাজার ৭৪১ জন পোলিং কর্মকর্তা। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সহায়তা করার জন্য ১৫০ জন টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং সশস্ত্র বাহিনীর নিরস্ত্র সদস্যরাও থাকবেন।