সুপ্রভাত বাসের মালিক ও কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার মামলায় সুপ্রভাত বাসের মালিক ও কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আবরার নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসের কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম ও তাঁর সহকারী ইব্রাহিম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আনিসুর জানান, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে পথচারী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে আহত করায় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, তাঁর সহকারী ইব্রাহিম হোসেন, কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে দুটি অভিযোগপত্রের বিচার আলাদা আলাদা চলবে।
নথি থেকে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ সকালে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে প্রগতি সরণিতে বিইউপির ছাত্র আবরার আহমেদকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি। এরপর দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় নামেন তাঁর সহপাঠীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
পরে এ ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় বাসের চালক সিরাজুল ইসলামকে। ২০ মার্চ ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী চালক সিরাজুল ইসলামকে সাতদিনের রিমান্ড দেন। ওই রিমান্ড শেষ হলে গত ২৮ মার্চ তিনি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সিরাজুল জানান, ১৯ মার্চ ভোর সোয়া ৬টার দিকে গুলশানের শাহজাদপুরে বাঁশতলা অতিক্রম করার সময় মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজের ছাত্রী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে বাসের চাপায় গুরুতর আহত করেন তিনি। ওই সময় সুপ্রভাত পরিবহনের যাত্রীরা তাঁকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর বাসের ক্ষতিসাধন এড়াতে বাস মালিকের নির্দেশে কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত বাস চালানো শুরু করেন। দ্রুত বাস চালাতে গিয়ে বিইউপির ছাত্র আবরারকে চাপা দিলে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পর বাস রেখে পালিয়ে যান ইয়াছির। পরে কন্ডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত ও সহকারী ইব্রাহিমকে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।