মনিরুল ইসলাম বললেন

শ্রীলঙ্কার ঘটনায় ঝিমিয়ে পড়া উগ্রবাদীরা অনুপ্রাণিত হতে পারে

Looks like you've blocked notifications!
মঙ্গলবার উগ্রবাদ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার কারণে বাংলাদেশেও ধর্মীয় উগ্রবাদীরা অনুপ্রাণিত হয়ে সহিংসতা করতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এমন আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দারা নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলানায়তনে উগ্রবাদ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘মিট দ্য মনিরুল ইসলাম’ শিরোনামে অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই শ্রীলঙ্কার ঘটনাটায় বিভিন্ন দেশে যারা ঝিমিয়ে পড়া উগ্রবাদী সন্ত্রাসী রয়েছে তারা অনুপ্রাণিত হতে পারে। বাংলাদেশেও যাতে অনুপ্রাণিত হয়ে কোনো সহিংসতা না ঘটাতে পারে সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। বাংলাদেশ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সবাই তৎপর রয়েছে, সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে। আমরা মনে করি না যে তাদের বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো হামলা করার সক্ষমতা এখন আর আছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে তারা সক্রিয় হতে না পারে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’  

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোনো সক্রিয়তার খবর গোয়েন্দাদের কাছে নেই। আর সহিংসতার চেষ্টা থাকলেও এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সেই সামর্থ্য নেই। তবে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলা থেকে সতর্ক থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে মনিরুল বলেন, জঙ্গিবাদ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

গত রোববার ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় কয়েকটি গির্জা ও হোটেলে চালানো ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং পুলিশ এখন পর্যন্ত ৪০ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার পর বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছে। ‘কিন্তু আমরা তাদের (জঙ্গিদের) নির্মূল করতে পারিনি।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানী ঢাকার কূটনৈতিক এলাকার কেন্দ্রে অভিজাত রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ২২ ব্যক্তিকে হত্যা করেন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশি।

কাউন্টার টেররিজম প্রধান বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। ‘সেই সাথে অনেক জঙ্গিবিরোধী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’

ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার ও ডিএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।