জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
গোপন দলিল ফাঁস করে আলোচিত হওয়া উইকিলিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। এ সময় মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
‘মুক্ত গণমাধ্যম ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের দাবিতে আমরা’ ব্যানারে এ মানববন্ধনে অংশ নেন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিতের যে জোর দাবি উঠেছে, বর্তমান সময়ে তার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অবস্থান করছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। অস্ট্রেলীয় এ নাগরিক যুক্তরাষ্ট্র ও তার সামরিক জোট ন্যাটোর সামরিক এবং কূটনীতিক লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে দেখিয়েছেন ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো কী করে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধারে নির্বিচারে মানুষ খুন, ষড়যন্ত্র ও আইন লঙ্ঘন করে বেড়ায়।
তাঁরা বলেন, যুদ্ধবাজ দেশের শাসকরা অ্যাসাঞ্জের এই লড়াইকে স্বাভাবিকভাবে দেখেনি। তাই তাঁকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে তথ্যের অবাধ প্রবাহে বাধা তৈরি করল পশ্চিমা বিশ্ব। পাশাপাশি বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টারও সমালোচনা করেন বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, অ্যাসাঞ্জ কেবলই একজন ব্যক্তি নন; অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার যে লড়াই চলছে দেশে দেশে, সে লড়াইয়ের নেতা বনে গেছেন অ্যাসাঞ্জ। তাই ‘গণসাংবাদিক’ অ্যাসাঞ্জের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবি জানানো সবারই নৈতিক দায়িত্ব।
মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রমথেশ শীল, মীর মোশাররফ হোসেন, অনির্বাণ শাহরিয়ার, আবু দাউদ খান, আবদুল মান্নান দিপ্ত, রাব্বি সিদ্দীকি, বাঁধন অধিকারী, মুজাহিদুল ইসলাম উইন, আহমেদ ইসমাম, ডিএস সৌরভ, ফারহান হাবীবসহ আরো অনেকে।
গত ১১ এপ্রিল জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বের করে গ্রেপ্তার করে লন্ডনের পুলিশ। দীর্ঘ সাত বছর লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ।
যুক্তরাজ্যের পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে যেভাবে গ্রেপ্তার করেছে, তার একটি ভিডিও প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সেখানে দেখা যায়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুখভর্তি সাদা দাড়ি। দাড়িগুলো বেশ বড়। তাঁকে জাপটে ধরে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে বের করে পুলিশ কর্মকর্তারা। ওই সময় অ্যাসাঞ্জ কিছু বলছিলেন। তবে কী বলছিলেন, তা বোঝা যায়নি। পরে তাঁকে পুলিশের গাড়িতে ওঠানো হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূতের আহ্বানে দূতাবাসের ভেতরে ঢুকে তারা জুলিয়ান আসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে।