খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে সংসদে যাওয়া নিয়ে আলোচনা নয়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির নির্বাচিত ছয় সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সংসদে যাওয়া নিয়ে কোনো আলোচনা নয়। নির্বাচিতদের শপথ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এ সিদ্ধান্ত আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নিয়েছি। সুতরাং এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টা এখানেই নিষ্পত্তি হওয়ার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
আজ শুক্রবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে শত নাগরিক কমিটির আয়োজিত ‘খালেদা জিয়া : তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ নামে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মওদুদ আহমদ।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমাদের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সীমাহীন নির্যাতন বিএনপিকে আরো বেশি শক্তিশালী করেছে। আজকে আওয়ামী লীগের এই নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে বিএনপি আগামী শত বছর রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে। আওয়ামী লীগের এই সীমাহীন অত্যাচার আর নির্যাতন বিএনপিকে আরো বেশি শক্তিশালী আর প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
মওদুদ আহমদ আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় খালেদা জিয়া আজ কারারুদ্ধ। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে তিনি আরো আগেই মুক্তি পেতেন। তার সব মামলা জামিনযোগ্য হলেও আমরা তাঁকে মুক্ত করতে পারছি না। তারপরও বলতে চাই, তিনি আমাদের মাঝে যত শিগগিরই ফিরে আসবে ততই আমাদের মঙ্গল। খালেদা জিয়ার ফিরে আসার মানেই হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে ‘খালেদা জিয়া : তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক বইটি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদার। ৮৬০ পৃষ্ঠার এই বইটিতে বেগম জিয়ার রাজনীতির সুদীর্ঘ পথপরিক্রমা ও নানা চড়াই-উতরাই সংগ্রাম ও দূরদর্শিতার গল্প উঠে এসেছে।
প্রকাশনা উৎসবে মোড়ক উন্মোচন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বইটির লেখক অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদারও উপস্থিত ছিলেন।