এতিম ‘পাখিদের’ পাশে ফরাসি এমিলি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের হাজী আসমত আলী এতিম বালিকা শিশু পরিবারের ১২০ জন এতিমের থাকার জন্য সুব্যবস্থা করে দিলেন ফরাসি নাগরিক ওমসু বসকিট এমিলি। তিনি তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে এতিম বালিকাদের জন্য তিনতলা বিশিষ্ট ৪০টি লোহার খাট, ১২০টি তোষক, বালিশ, বালিশের কভার ও বিছানার চাদর উপহার দিয়েছেন।
ওই এতিমখানায় থেকে স্থানীয় বিভিন্ন ওয়ার্কশপ এবং লেপ-তোষকের দোকান থেকে তাঁর পছন্দের দ্রব্যগুলো তৈরি এবং কিনে আনেন। সেগুলো প্রতিটি কক্ষে স্থাপন করে আজ বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেন শিশুদের।
এই উপলক্ষে এতিম শিশু পরিবারের পক্ষ থেকে ছোট্ট পরিসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই আনুষ্ঠানিকতায় ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন ওমসু বসকিট এমিলি।
এ সময় হাজী আসমত আলী এতিম বালিকা শিশু পরিবারের ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া ছিদ্দিকী, প্রধান সমন্বয়ক মাহিন সিদ্দিকী, উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান, কাতার চ্যারিটির সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার মো. মাহমুদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর দোয়া ও মোনাজাতের পর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বাংলায় বক্তব্যের মাধ্যমে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ওমসু বসকিট এমিলি। এ সময় তিনি এতিম শিশুদের ‘পাখি’ বলে সম্বোধন করে বলেন, তিনি তাদের কাছে বারবার আসবেন। কারণ, তিনি এই পাখিদের ভালোবাসেন। তিনি এই শিশুদের আগামীর বাংলাদেশ আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের লেখাপড়ায় ভালো করতেই হবে। তোমাদের বড় হতেই হবে।
এদিকে প্রধান সমন্বয়কারী মাহিন সিদ্দিকী জানান, এই খাটগুলো পাওয়ার আগে শিশুরা ফ্লোরে বিছানা পেতে ঘুমাত। কারণ, এক হাজার ১০০ এতিম শিশুর সবার জন্য তারা এখনো থাকার ভালো ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেননি।
ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া সিদ্দিকী দেশি-বিদেশিসহ স্থানীয় অর্থবানদের এই এতিম পরিবারের শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কারো বাবা নেই, কারো নেই মা। কারো আবার বাবা-মা দুজনই নেই। পৃথিবীতে এরচেয়ে সাহায্যপ্রার্থী আর কোন শিশুরা হতে পারে?